DhakaThursday , 15 June 2023
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. মহিলা অঙ্গন
  11. রাজনীতি
  12. রাজশাহী
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে নৈরাজ্য, হতাশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

Link Copied!

বাংলার সকাল ডেস্ক: দেশের বেসরকারি মেডিকেল ভর্তিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বেসরকারি মেডিকেল চালু হাওয়ার পর সব সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তিতে পছন্দমত মেডিকেল কলেজে মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পেয়ে আসছিলো। পূর্বের ভর্তির নিয়ম অনুযায়ী সারাদেশে একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ ছিলো। এতে শিক্ষার্থীরা পছন্দমত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারতো। চলতি বছর বেসরকারি মেডিকাল কলেজে ভর্তির ব্যাপারে বিস্ময়কর পরিবর্তন আনা হয়। সংশ্লিষ্টদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে প্রথমবারের মত অটোমেশন চালু করা হয়। এতে প্রথমে শিক্ষার্থীদের ৫টি মেডিকাল কলেজে ভর্তির চয়েস রাখা হয়। পরবর্তীতে এই নীতি পরিবর্তন করে ছেলেদের জন্য ৬০টি মেডিকেল কলেজ ও মেয়েদের জন্য ৬৬টি চয়েস রাখা হয়

চয়েসের এ ধরনের নিয়ম শুধু বাংলাদেশে জন্য নয়, সারাবিশ্বে নজিরবিহিন। দেশের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ৫টি প্রতিষ্ঠানের চয়েস দেয়া যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য-অধিদপ্তর দেশ-বিদেশের সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ৬৬টি মেডিকেল কলেজের অপশন দেয়। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাদের বিরোধিতাদের সত্ত্বেও স্বাস্থ্য-অধিদপ্তর গত ১৩ জুন মঙ্গলবার কলেজ ঠিক করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। এ ক্ষুদে বার্তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের দেয়া পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাননি অনেকে। অবস্থা দেখে মনে হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইচ্ছা মত কলেজ নির্বাচন করে শিক্ষার্থীদের ক্ষুদে বার্তা দিয়েছে। তাদের চয়েস কোনো মূল্য দেয়া হয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হলো যে, কোন নীতিতে বা পদ্ধতি অনুসরণ করে কলেজ নির্বাচন করা হয়েছে তা অবহিত করা হয়নি। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যা নিয়ে দেশের মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিবাকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সংশিষ্ট সকলে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করে পূর্বের পদ্ধিততে ফিরে যাওযার দাবি করেন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্বাচনকৃত ভর্তিচ্ছু তালিকায় দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থীরা ঢাকার বাইরে গ্রামে-গঞ্জের কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আবার ঢাকার বাইরের অনেককেই রাজধানীসহ বড় বড় শহরে সুযোগ দেয়া হয়েছে। যা তাদের জন্য ব্যয় বহন করা কষ্টের। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই নীতি মেডিকেল শিক্ষা ধ্বংসের নামান্তর। নির্বাচনের বছরে এসে মেডিকেলে ভর্তিতে এধরনের সিন্ধান্ত আত্মঘাতী হওয়ার সামিল। ধারণা করা হচ্ছে সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিরোধী একটা অংশ এই চক্রান্তে লিপ্ত। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাই তাদের উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য সফল হলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।