বাংলার সকাল ডেস্ক: ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন বিপিএল’ স্লোগান নিয়ে মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একাদশতম আসর। শুরুর দিকে ঠিকঠাক চললেও কিছু দিন পরেই বেরিয়ে আসে নানা নেতিবাচক দিক। বিশেষ করে অতীতের সব বিতর্ককে পেছনে ফেলে দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। দলটা প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছে। এবার যে কথা উঠেছে সেটি বোধহয় সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি আসরে খেলোয়াড়দের ঠিকঠাক পারিশ্রমিক দিতে ব্যর্থ দলটা। বারবার চেক বাউন্স, এমনকি কোনো কোনো খেলোয়াড় এক টাকাও পাননি বলে জানিয়েছেন। বুধবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির এক ক্রিকেটার সময়ের আলোকে জানিয়েছেন, তাকে যে দুটি চেক দেওয়া হয়েছিল দুটিই বাউন্স করেছে। এখনও তিনি একটি টাকাও পাননি। তার মতো এমন আরও দুয়েকজনের নাম বলেছেন। তবে দলে এমনও ক্রিকেটার আছেন যে কি না শতভাগ পারিশ্রমিক পেয়ে গেছেন।
এর মধ্যে বুধবার দলটির মালিক পক্ষ থেকে অনুরোধ আসে, তিন দিনের ছুটিতে যাওয়ার। বিশেষ করে ঢাকায় যাদের বাসা আছে তারা যেন নিজ বাসায় গিয়ে থাকেন। এতে করে তিন দিনের হোটেল খরচ বাঁচবে। তবে টিম মালিকের এমন অনুরোধ রাখছে না দলের খেলোয়াড়রা। যদিও টিম ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের অনুরোধে নিজ বাসায় গিয়ে উঠেছেন বলেও জানান ওই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা টাকা পাইনি তারা কীভাবে বাসায় যাব। আমাদের বলা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি আবার হোটেলে ফিরতে। এখন দল যদি কোনো কারণে প্লে-অফে না যায় তা হলে আমরা তো দল মালিককে পাব না। এখনই যে অবস্থা।’ চট্টগ্রাম পর্বে বকেয়া পাওনা না পেয়ে অনুশীলন বয়কট করেন ক্রিকেটাররা। এরপর ঢাকা পর্বে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে পারিশ্রমিক না পাওয়ায় মাঠে নামেননি বিদেশিরা। নিয়ম ভেঙে দেশি খেলোয়াড়দের নিয়েই খেলে দলটি।
বিসিবির আশ্বাসে সিলেটের বিপক্ষে বিদেশিরা খেললেও বকেয়া সমস্যার সমাধান হয়নি। এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, স্থানীয়দের দেওয়া চেক বাউন্স করেছে, এখনও পাননি দৈনিক ভাতাও। তবুও রাজশাহী প্লে-অফের দৌড়ে টিকে আছে, ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা, চিটাগং ও ঢাকার সঙ্গে শেষ চারের লড়াইয়ে আছে তারা। রংপুর ও বরিশাল ইতিমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে।
কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।