বাংলার সকাল ডেস্ক : ইউক্রেনে নির্ধারিত সামরিক সহায়তা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এই পদক্ষেপ একসময়ের মিত্র হিসেবে পরিচিত দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনকে আরও তীব্র করে তুলবে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিষয়ে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার প্রতি নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প।গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে বিতর্কের পর ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত এসেছে। বৈঠকে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটনের সমর্থনের জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে না ইউক্রেন।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না ট্রাম্প মনে করবেন, ইউক্রেনের নেতারা শান্তির প্রতি অঙ্গীকারের সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সহযোগিতা বন্ধ থাকবে।ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সহযোগিতা বন্ধ স্থায়ীভাবে নয়, এটি সাময়িক।
সাময়িক এই অস্ত্র সহযোগিতা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সামরিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করা হয়নি।বিশেষ করে, কী পরিমাণ সহায়তা এই স্থগিতাদেশের আওতায় পড়বে এবং এটি কতদিন চলবে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।